ঢাকা, শুক্রবার, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২, ১৫ আগস্ট ২০২৫, ২০ সফর ১৪৪৭

শিক্ষা

ঢাবির সমাবেশে সংবাদ সংগ্রহেও কড়াকড়ি 

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮:১০, মার্চ ২২, ২০১৮
ঢাবির সমাবেশে সংবাদ সংগ্রহেও কড়াকড়ি  ঢাবির সমাবেশে সংবাদ সংগ্রহেও কড়াকড়ি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতির যোগ্যতা অর্জন করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত আনন্দ সমাবেশে নিরাপত্তার অজুহাতে সংবাদ সংগ্রহেও কড়াকড়ি দেখা গেছে।

বৃহস্পতিবার (২২ মার্চ) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতি চিরন্তনের পাদদেশে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল, বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেন।

শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত ছিলেন বিএনসিসি ও রোভারের সদস্যরা। সমাবেশে উপস্থিত লোকজনের সারি রাস্তার দু’পাশে থাকায় প্রত্যেকবার সাংবাদিকরা রাস্তার মাঝখানে অবস্থান নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করে। এসময় ভেতরে ঢুকে সংবাদ সংগ্রহ করতে চাইলে বিএনসিসির সদস্যরা নিরাপত্তার অজুহাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিক ও বেসরকারি কয়েকটি টেলিভিশনের সংবাদকর্মীদের বাধা দেন। ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মীও তাদের সঙ্গে যোগ দিয়ে এক সাংবাদিককে ধাক্কা দেন।

এছাড়া সংবাদ সংগ্রহে আগে থেকেই যারা মূল অনুষ্ঠানের সামনে অবস্থান করেছিলেন, তাদের সঙ্গেও বারবার ধাক্কাধাক্কি ও বাকবিতণ্ডা হয় বিএনসিসি সদস্যদের। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানকে অবহিত করার পরও কোনো ধরনের সুরাহা হয়নি। বরং সাংবাদিকরা বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন।
কর্মসূচির উদ্বোধন করেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান
কয়েকজন সংবাদকর্মী বাংলানিউজকে বলেন, কর্মসূচির সামনে দাঁড়ানো নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে যখন অশোভন আচরণ করা হচ্ছে, ঠিক তখনই একইস্থানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন হলের প্রায় শ’খানেক কর্মী অবস্থান নিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিলেন বিএনসিসির প্রায় ৩০-৩৫ জন সদস্য। যারা মানববন্ধনে ভিসির সামনে বিশেষ নিরাপত্তাবলয় তৈরি করেছেন। যদিও ইতোপূর্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য কোনো কর্মসূচিতে ভিসিকে এভাবে বিশেষ নিরাপত্তা দেওয়ার নজির নেই। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো অনুষ্ঠানের সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে সাংবাদিকদের হয়রানির শিকার হওয়ার ঘটনাও এবারই প্রথম।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামানকে ফোন দেওয়া হলে তার প্রটোকল অফিসার আহসানুল কবির মল্লিক ফোন রিসিভ করেন। তিনি বলেন, স্যার অফিসে ফাইল স্বাক্ষর করছেন।

সমাবেশে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, উন্নয়নশীল দেশে স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য তিনটি শর্তের প্রয়োজন ৷ সে তিনটি শর্ত বাংলাদেশ পূরণ করতে পেরেছে। এজন্য জাতিসংঘ বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় পর্যবেক্ষণে রাখছে। ২০২১ সালে জাতিসংঘ মূল্যায়ন করার পর ২০২৪ সালে স্থায়ীভাবে উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভূমিকা অনেক। সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে কাজ করতে হবে। এছাড়াও ২০৪১ সালে আমাদের যে ভিশন আছে, সে ভিশন বাস্তবায়নের জন্য যে প্রস্তুতির প্রয়োজন তা বাস্তবায়নে আমরা কাজ করে যাবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১১ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৮
এসকেবি/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।