ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২, ১২ আগস্ট ২০২৫, ১৭ সফর ১৪৪৭

শিল্প

‘কিছুই এখানে ফেলনা না’

শরিফুল ইসলাম জুয়েল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২:৩৮, সেপ্টেম্বর ৬, ২০১৭
‘কিছুই এখানে ফেলনা না’ সাভার চামড়া শিল্প নগরীতে চামড়া প্রক্রিয়াজাত করছেন শ্রমিকরা/ ছবি: কাশেম হারুন

ঢাকা: “ট্যানারি শিল্পে কিছ‍ু ফেলনা নাই। এর সবকিছুই কাজে লাগে। চামড়া বাদে ব‍াকি অংশকে সবাই বর্জ্য বলে। আমি মনে করি, এই শিল্পে বর্জ্য বলতে শুধ‍ু ব্যবহৃত পানি ছাড়া আর কিছু নাই। তবে ভালোভাবে সংগ্রহ করতে হবে। যাতে মানুষের ক্ষতি না হয়।”

চামড়া শিল্পের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে বলছিলেন সাভার চামড়া শিল্প নগরীর বর্জ্য শ্রমিক আকবর হোসেন।

বুধবার (০৬ সেপ্টেম্বর) সাভার চামড়া শিল্প নগরীতে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, আকবর হোসেন তার সহযোগীদের নিয়ে ঝুট চামড়া প্রক্রিয়াকরণের কাজ করছেন।

এ থেকে হাঁস-মুরগির খাবার, মাছের খাবার ও মশা মারার কয়েল তৈরি করা হয় বলে জানান তিনি।
 
বাংলানিউজকে আকবর হোসেন বলেন, “প্রথমে আমরা কারখানা থেকে ঝুট চামড়া সংগ্রহ করে নদীর পাড়ে ফাঁকা স্থানে এনে স্টিলের প্যানে জ্বালাই। পরে তা শুকিয়ে বস্তায় করে বিক্রি করি। মহাজনরা এটা নিয়ে মাছের খাবার, হাঁস-মুরগির খাবার এবং মশার কয়েল তৈরি করে বলে শুনেছি। ”

ঝুট জ্বালানোর সময় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পরিবেশ নষ্ট করে কি না জানতে চাইলে আকবর হোসেন বলেন, “শুকনা ঝুট চামড়ায় দুর্গন্ধ কম থাকে। যা থাকে তা দূর থেকে টের পাওয়া যায় না। ”

এদিকে চামড়া শিল্প নগরীর কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগারের (সিইটিপি) ভেতরে দেখা যায়, মোট চারটি মডিউলের মধ্যে দুটি দিয়ে চলছে বর্জ্য পরিশোধনের কাজ। আরও একটির আংশিক কাজ শুরু হয়েছে।
 
এ বর্জ্য শোধনাগারে কারখানাগুলো থেকে দুই ধরনের পানি বের হয়। এ পানি থেকে বর্জ্য আলাদা করে সয়ংক্রিয় মেশিনে প্রক্রিয়াজাত করা হয় বলে জানান বর্জ্য শোধনাগারের অ্যাসিসটেন্ট ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ আলি খান।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, “শোধিত বর্জ্যগুলোকে কেক আকারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এ থেকে বিদ্যুৎ তৈরি করা হবে। তবে একাজ এখনও শুরু হয়নি। ”
 
জহির টেনারি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের লেদার টেকনোলোজিস্ট জহুরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, এই শিল্পের প্রতিটি অংশ থেকেই ব্যবসা করা যায়। অন্য কোনো শিল্পে এটা সম্ভব না। আমাদের দেশের চামড়া শিল্পকে ভালোভাবে সংরক্ষণ করতে পারলে দেশ এখান থেকে অনেক কিছুই পাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৭
এসআইজে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।